অনন্য সাকিব

আর মাত্র ৩৫ রান।
.
শ্রীলংকার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা তার পুরো বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারে রান করেছেন ৯৬৯, ওয়েস্ট ইন্ডিজের চন্দরপল করেছেন ৯৭০, আর অস্ট্রেলিয়ার ওয়াহ ফ্যামিলি- স্টিভ ওয়াহ ও মার্ক ওয়াহ রান করেছেন যথাক্রমে ৯৭৮ ও ১০০৪ রান। আর নিউজিল্যান্ডের স্টিফেন ফ্লেমিং বিশ্ব ক্রিকেটের সর্ববৃহৎ টূর্ণামেন্টে সব মিলিয়ে রান করেছেন ১০৭৫। ২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এদের সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে সাকিবের। আজকের ম্যাচে আর ৩৫ রান করলেই প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসমান হিসেবে পৌছে যাবেন বিশ্বকাপ ক্রিকেটের এক হাজারি রানের ক্লাবে। বিশ্ব ক্রিকেটের আরো দুই লিজেন্ড অলরাউন্ডার
সনাথ জয়সুরিয়া করেছেন ১১৬৫ রান আর জ্যাক ক্যালিস করেছেন ১১৪৮। এবারের বিশ্বকাপে না হলেও আগামী বিশ্বকাপে তাদের দুজনকেই ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ তো সাকিবের সামনে থাকছেই।
.
১০০০ রান, সাথে ৩০ উইকেট। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে এখনো কেউ এ রেকর্ড করতে পারেনি, এমনকি ৯০০ রান ও ৩০ উইকেটও না। আজকের ম্যাচেই সে অর্জনের পথে এগিয়ে যাবেন সাকিব, সে আশা করাই যায়।
Shakib Al Hasan
.বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিজেকে গ্রেট বানানোর আদর্শ জায়গা। আগের তিন আসর মিলিয়ে ২১ ম্যাচে ৫৪০ রান আর ২৩ উইকেট সাকিবের নামের পাশে ততটাও মানানসই ছিল না। আর এবারের আসরে ৫ ম্যাচেই করলেন ৪২৫ রান, আর আগের তিন আসরে একবারও ম্যান অব দ্য ম্যাচ না হওয়া সাকিব এবার হলেন দুই ম্যাচের ম্যাচসেরা। আগামী বিশ্বকাপের আগে নিশ্চয়ই কেউ বিশ্বকাপের সর্বকালের সেরা একাদশে সাকিবকে জায়গা দিতে দু'বার ভাববেন না।
.
রিকি পন্টিংরা কখনো ভুল বলেন না। সাকিব ভয়ানক, সাকিব বিপদজনক। বিশ্ব সাকিবকে চিনুক একজন জেনুইন ব্যাটসমান হিসেবে, একজন জেনুইন বোলার হিসেবে।
.
ক্যারিয়ার শেষে ওয়ানডেতে ১০০০০ রান আর ৪০০ উইকেটের আশা করাটা কি বোকামি হবে? নাহ। আমার তো মনে হয় না। আমার কাছে মনে হয় তিন নম্বরে ব্যাট করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ ব্যাটসমান সাকিবের এক ধরনের পুনর্জন্ম। আর ৪০০ উইকেট? সেটাও তো অসম্ভব কিছু না।
.
টেলিভিশনে যখন টপ স্কোরার দের লিস্ট দেখায় তখনই সাকিবের নাম চোখে পড়ে, ফ্যান্টাসি পয়েন্টে সাকিবের নাম। প্রত্যেকটা জায়গায় সাকিবের নাম যখন দেখায়, তারই ঠিক পাশে জ্বলজ্বল করে থাকে বাংলাদেশের পতাকা। সাকিব আমাদের, আমাদের সম্পদ, আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার।

No comments

Theme images by 4x6. Powered by Blogger.